Description
🐟 ট্যাংরা মাছ (Tangra Fish) এর বৈশিষ্ট্যঃ
আকার ও গঠন:
ট্যাংরা মাছ একটি ছোট থেকে মাঝারি আকারের মিঠা ও লবণাক্ত পানির মাছ। এর শরীর লম্বাটে ও কিছুটা চাপা ধরনের, ত্বক মসৃণ ও আঁশবিহীন। মাথা কিছুটা চ্যাপ্টা, মুখে একাধিক গোঁফ থাকে। রঙ সাধারণত বাদামি থেকে কালচে হয়ে থাকে, কিছু প্রজাতির শরীরে হালকা ছোপ দেখা যায়।
স্বাদ:
ট্যাংরা মাছের মাংস অত্যন্ত নরম, সুস্বাদু ও কাঁটাবিহীন। রান্নার পর এটি খুবই ঝরঝরে এবং ঘরোয়া মসলায় দারুণভাবে মিশে যায়। ঝোল, ভুনা বা সরিষা দিয়ে রান্নায় এটি ব্যাপক জনপ্রিয়।
প্রাপ্যতা:
বাংলাদেশের নদী, খাল, বিল, হাওড় ও পুকুরে পাওয়া যায়। বিশেষ করে বর্ষাকালে বেশি ধরা পড়ে। এটি সাধারণত তাজা অবস্থায় বাজারে পাওয়া যায়, তবে হিমায়িত ভাবেও সংরক্ষণ করা যায়।
সংরক্ষণ:
ফ্রিজে রাখলে ট্যাংরা মাছ সহজেই ৪–৫ দিন ভালো থাকে। হিমায়িত অবস্থায় কিছুদিন সংরক্ষণযোগ্য, তবে ফ্রেশ খেলে স্বাদ বেশি ভালো থাকে।
✅ ট্যাংরা মাছের উপকারিতাঃ
উচ্চমানের প্রোটিন:
শরীরের কোষ গঠন, পেশি বৃদ্ধি ও রোগ প্রতিরোধে সহায়ক।
লো ক্যালোরি ও কম ফ্যাট:
ডায়েট বা ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক, হার্ট-হেলদি খাবার।
আয়রন ও ক্যালসিয়াম:
রক্ত তৈরি করে, হাড় ও দাঁত মজবুত করে।
ভিটামিন B-কমপ্লেক্স ও D:
স্নায়ুতন্ত্র সুরক্ষায় সহায়ক ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
সহজে হজমযোগ্য:
শিশু ও অসুস্থ ব্যক্তিদের জন্য হালকা ও পুষ্টিকর খাবার।
🍛 ট্যাংরা মাছ খাওয়ার পদ্ধতিঃ
ট্যাংরা মাছের ঝোল (আলু, বেগুন, চাল কুমড়া দিয়ে)
সরিষা বাটা দিয়ে ভুনা
টক ট্যাংরা (তেঁতুল বা চালতা দিয়ে রান্না)
ট্যাংরা মাছের কালা ভুনা
ঢেঁড়স বা শাক দিয়ে ট্যাংরা রান্না
ট্যাংরা মাছের পাতলা ঝোল ভাতের সাথে
Reviews
There are no reviews yet.